চিংড়ি আহরণ পদ্ধতি (৪.১)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK
173
173

চিংড়ি আহরণের ক্ষেত্রে চিংড়ির ঘেরের পারিবেশিক অবস্থা, ঘের বা জমির পরবর্তী ব্যবহার, পরবর্তী ফসলের সময়, চিংড়ির বাজারদর, পরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধা, প্রক্রিয়াজাতকরণের সুবিধা, প্রভৃতি বিবেচনা করে চিংড়ি আহরণ করা উচিত। সাধারণত চিংড়ির বয়স ৩ থেকে ৪ মাস হলে চিংড়ি আহরণ করা আরম্ভ হয়। চিংড়ির খামার বা ঘেরে পর্যাপ্ত খাবার বিদ্যমান থাকলে এবং ঘেরের পরিবেশ চিংড়ির বৃদ্ধির অনুকুল হলে ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে প্রতিটি চিংড়ির ওজন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রধানত দু'ভাবে চিংড়ি আহরণ করা হয়ে থাকে, যেমন- আংশিক আহরণ ও সম্পূর্ণ আহরণ।

Content added By

আংশিক আহরণ (৪.১.১)

229
229

এ পদ্ধতিতে ঘেরের চিংড়ি ১৫ থেকে ২০ গ্রেডের মধ্যে এলেই অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে নতুন পানি ঢোকানোর সময় বড় আকারের চিংড়ি ধরা আরম্ভ হয়। জোয়ারের সময় নির্দিষ্ট স্থানে চিংড়ি আটকিয়ে ঝাঁকি জাল দিয়ে বা অন্য কোন প্রকার ছোট জাল ব্যবহারের মাধ্যমে আংশিক চিংড়ি ধরা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে শুধু বড় আকারের চিংড়ি ধরে ছোট চিংড়িসমূহ বড় হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

সুবিধা

  • সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাজারজাত করা যায়।
  • গ্রেড অনুযায়ী চিংড়ির আকার মোটামুটি একই রকম করা যায়।
  • বাজারজাতকরণের ঝুঁকি কম থাকে।
  • ঘেরের ছোট চিংড়ি বড় হওয়ার সুযোগ পায়। 
  • পরিবহণ পাত্র ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য জিনিসপত্র কম লাগে।

অসুবিধা

  •  চিংড়ি ধরার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম ব্যয় হয়।
  • কিছুটা সময় অপচয় হয়।
  • পরিবহণ খরচ বেশি লাগে।
Content added By

সম্পূর্ণ আহরণ: (৪.১.২)

163
163

এ পদ্ধতিতে খামারের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে গেটে জাল পেতে ছোট-বড় সব রকম চিংড়ি ধরা হয়। চিংড়ি সম্পূর্ণভাবে ধরার জন্য ব্যাগ নেট, বেহুন্দি জাল, হাপা নেট প্রভৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘেরের পানি সম্পূর্ণ নিষ্কাশনের পর স্কুপ নেট (scoop net) বা হাতের মাধ্যমেও চিংড়ি ধরা যেতে পারে।

সুবিধা

  • খামারে নতুন ফসলের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সুবিধা হয়।
  •  চিংড়ি ধরার কাজে শ্রম বিনিয়োগ কম লাগে।
  • ফসল পর্যায়ক্রম (crop rotation) করতে সুবিধা হয়।
  • একসাথে সমস্ত চিংড়ি বাজারজাত করা যায়।

অসুবিধা

  • অনেক চিংড়ি ছোট অবস্থায় থেকে যায় বা বড় হওয়ার সুযোগ পায় না।
  • খামারে মোট উৎপাদন কিছুটা কম হয়ে থাকে।
  • ছোট চিংড়ির বাজার চাহিদা কম হয়ে থাকে।
  • চিংড়ি ধরার কাজে বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে।

চিত্র-৪.১: আহরণকৃত বাগদা চিংড়ি

Content added By
Promotion